খাবারে স্বাদ বাড়াতে পুদিনা পাতার জুড়ি মেলা ভার। গ্রীষ্মকালের এই সময় বাজারে পুদিনা পাতা সরবরাহ বেশি থাকে। রান্নায় পুদিনা পাতার কদর তো আছেই, কিন্তু ঔষধি হিসেবে এই পাতার বহুল ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই। যা অনেকের অজানা। এছাড়াও রূপচর্চার উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয় পুদিনা পাতা। আর যত দিন যাচ্ছে তত গবেষণা হচ্ছে পুদিনা ও পুদিনার মতো ভেষজ উদ্ভিদ নিয়ে। আজ পুদিনা পাতার গুরত্বপূর্ণ গুণাবলী নিয়ে আলোচনা করা হলো।
শ্বাস কষ্টের রোগীদের জন্য পুদিনা পাতা খুবই উপকারী। এই পাতাটি ঠান্ডা তাই সহজে শ্বাস প্রণালী পরিষ্কার করে। তবে একদিনে খুব বেশি পরিমাণ এই পাতা খাওয়া ঠিক নয়।
# সর্দি-কাশি সারাতে পুদিনা পাতা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নাক বন্ধ সারাতেও এই পাতা বেশ উপকারী। তাই সর্দি-কাশিতে আক্রান্তরা পুদিনা পাতা খেতে পারেন প্রতিষেধক হিসেবে।
# হজমে সহায়তা করে পুদিনা পাতা। গর্ভাবস্থায় এটি চিবুলে বমি বমি ভাব দূর হয়। এছাড়া গ্যাস্ট্রিক কমাতেও এটি বেশ কার্যকরী।
# পুদিনা পাতা আয়রনের ভালো উৎস। তাই এটি রক্তশূণ্যতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এছাড়া এটি রক্ত সরবরাহ ভালো রাখে।
# পুদিনা পাতার শীতলতা মাথা ব্যথা দ্রুত সারিয়ে তোলে। মুখে দুর্গন্ধ হলে পুদিনা পাতা চুইংগামের মতো চিবুতে পারেন। এতে মুখের দুর্গন্ধ হ্রাস পায়ে। সেই সঙ্গে মুখের দাগও পরিষ্কার এটি।
# যেকোনো ধরনের ক্ষত সারাতেও পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী। এটা শরীরের কার্যকারিতা বাড়ায়। প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় পুদিনা পাতা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।
# রোদে পোড়া ত্বকের জ্বালা কমাতে পুদিনা পাতার রস ও অ্যালোভেরার রস একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন সানবার্নের জ্বালা গায়েব।
# চুলে উকুন হলে পুদিনার শেকড়ের রস লাগাতে পারেন। মাথায় চুলের গোড়ায় এই রস ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি পাতলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে ১ ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু’বার করলে এক মাসের মধ্য চুল হবে উকুনমুক্ত।
# পুদিনা পাতার রস ত্বকের যে কোনো সংক্রমণকে ঠেকাতে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। শুকনো পুদিনা পাতা ফুটিয়ে পুদিনার জল তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিন। এক বালতি জলে দশ থেকে পনেরো চামচ পুদিনার জল মিশিয়ে স্নান করুন। গরমকালে শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া-জনিত দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পেতে এটা ট্রাই করতে পারেন। কেননা পুদিনাতে রয়েছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট। ফলে ঘামাচি, অ্যালার্জিও হবে না।